২২ দিনের কন্যা শিশুকে ১ লাখ ১০টাকায় বিক্রি করলো বাবা। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সুদ ব্যবসায়ীদের চাপে নিজের কন্যা সন্তানকে ১লাখ ১০হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন বাবা। সেই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে বাকি টাকা ভ্যানচালক বাবাকে দিয়ে দেই সুদকারবারীরা।
ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়ছে গ্রামটিতে। প্রত্যকদর্শীরা বলছে,শিশুটির বাবা তার শিশুকে ১লাখ ১০হাজার টাকায় বিক্রি করেছে অন্যদিকে শিশুটির বাবা ভ্যানচালক রেজাউল করিম বলে, তাকে দত্তক রেখেছে তিনি।তার নামে সব বানোয়াট কথা। স্থানীয়রা জানান, কয়েকমাস আগে ভ্যানচালক রেজাউল করিম তার প্রতিবেশী সুদের কারবারি কালাম হোসেন এবং আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে টাকা ধার করেন।
এর মধ্যে কিছু সুদ পরিশোধ করলেও চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। কিন্তু এ টাকা পরিশোধ করতে পারছিলো না রেজাউল করিম। কিছুদিন আগে সুদ ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে তার ভ্যানটিও কেড়ে নেই। পরে তিনি তার শিশু কন্যারকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই, এতে তার বউ বাধা দিলে তাকেও মারধর করে নানা রকম হুমকি দেই নিজে আত্নহত্যা করবে এমনটা বলে রেজাউল।
পরে তার বউ রাজি হলে সুদকারবারী সামাদের এক চেনা পরিচিত মানুষের কাছে বিক্রি করে দেয় রেজাউল। এর পর সুদের টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে বাকি টাকাদিয়ে একটি ভ্যান কিনে দেই সুদব্যবসায়ীরা। রিকশাভ্যান বিক্রেতা আফতাব উদ্দিন বলেন, সোমবার রেজাউলকে সঙ্গে করে আব্দুস সামাদ আমার কাছে এসে একটি ভ্যান কেনার জন্য ২৮ হাজার টাকা দিয়েছেন।
রেজাউলের মেয়েকে বিক্রির টাকা থেকে এ টাকা দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে রেজাউলের স্ত্রী কোন কথা বলতে রাজি হয় নি। এ ব্যাপারে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, “ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় পুলিশ দুজন সুদ ব্যবসায়ীসহ সেই পরিবারকে থানায় নিয়ে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু কন্যাকে দত্তক দেওয়ার কথা জানান শিশুর পিতা। এ সংক্রান্ত স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা দেখানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করছে পুলিশ।”